প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক অবসাদ

Depression in adults

Below is a Bengali translation of our information resource on depression in adults. You can also view our other Bengali translations.

যারা হতাশ, আশাহত, অবসাদগ্রস্ত বোধ করছেন, যারা মনে করে যে তারা সংগ্রাম করছেন এবং যারা মনে করেন তাদের মানসিক অবসাদ থাকতে পারে, এই লিফলেটটি তাদের জন্য। আমরা আশা করি, এটি তাদের আত্মীয় এবং বন্ধুদের জন্যও সহায়ক হবে।

মানসিক অবসাদে শরীর ও মনে কেমন অনুভূতি হয়, আপনি কীভাবে নিজেকে সাহায্য করতে পারেন, যেসব সাহায্য পাওয়া যাবে, এবং কীভাবে মানসিক অবসাদে ভোগা অন্য ব্যক্তিদেরকে সাহায্য করা যাবে — এই লিফলেটে এসকল বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে।

অন্যান্য কোন জায়গায় আপনি আরও তথ্য পেতে পারেন, লিফলেটের শেষে তার একটি তালিকা রয়েছে।

দুঃখী অনুভূত হওয়া এবং মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়ার মধ্যে পার্থক্য কী?

প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনেই এমন সময় থাকে যখন তিনি বিরক্ত বা দুঃখী অনুভব করেন। এটি সাধারণত বিশেষ কোনও কারণে হয়, দৈনন্দিন জীবনে খুব বেশি প্রভাব ফেলে না না এবং সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় না।

তবে এই অনুভূতিগুলো যদি কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে চলে অথবা এমন খারাপ পর্যায়ে যায় যে আপনার জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলছে, তাহলে আপনার মধ্যে সম্ভবত ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ তৈরি হয়েছে এবং আপনার সাহায্য দরকার।

মানসিক অবসাদের লক্ষণগুলো কী?

মানুষ বিভিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার মানসিক অবসাদ অনুভব করে। মানসিক অবসাদের হালকা, মাঝারি বা গুরুতর মাত্রা আছে।

মানুষের মানসিক অবসাদের অভিজ্ঞতা তাদের সাংস্কৃতিক পটভূমি এবং তাদের ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ভাষা দ্বারাও প্রভাবিত হয়।

আপনার মানসিক অবসাদ থাকলে আপনি সম্ভবত নিচের কিছু বিষয় লক্ষ্য করবেন :১ ২

মানসিকভাবে আপনার মনে হতে পারে যে আপনি :

  • অসুখী, হতভাগা, নিরাশ, অবসাদগ্রস্ত — এই অনুভূতিগুলো লেগেই থাকবে এবং দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে আরও তীব্র হবে, বিশেষ করে সকালের শুরুতেই
  • কিছু উপভোগ করতে না পারছেন না
  • মানুষের সাথে মেশার আগ্রহ এবং বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ হারিয়েছেন
  • সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারছেন না এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন লাগছে
  • আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন
  • নিজেকে দোষী এবং অযোগ্য মনে করছেন
  • নৈরাশ্যবাদি হয়ে গিয়েছেন
  • আশাহীন এবং সম্ভবত আত্মঘাতী অনুভব করতে শুরু করছেন।

শারীরিকভাবে আপনার মনে হতে পারে যে আপনার :

  • অস্থির, উদ্বিগ্ন বা বিচলিত অনুভব হচ্ছে
  • ক্লান্ত এবং শক্তিহীন অনুভব হচ্ছে
  • ঘুম আসছে না বা বেশি ঘুমাতে পারছেন না
  • ঘুম তাড়াতাড়ি ভাঙছে এবং/অথবা সারা রাত জেগে থাকছেন
  • মাথা ব্যথা বা পেট খারাপ
  • যৌনতার প্রতি আগ্রহ নেই
  • খাওয়া ও ওজন কমানোর আগ্রহ নেই অথবা ‘কমফোর্ট ইটিং’ (মানসিক অবসাদের কারণে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়া) বেশি হচ্ছে এবং ওজন বাড়ছে।

অন্য মানুষ লক্ষ্য করতে পারে যে আপনি :

  • কর্মক্ষেত্রে ভুল করছেন বা মনোনিবেশ করতে পারছেন না
  • অস্বাভাবিকভাবে শান্ত এবং অনাগ্রহী, অথবা লোকেদের এড়িয়ে চলছেন
  • স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন
  • স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খিটখিটে
  • স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা কম ঘুমাচ্ছেন
  • অস্পষ্ট শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে অভিযোগ করছেন
  • সঠিকভাবে নিজের যত্ন নিচ্ছেন না — আপনি আপনার শরীর, চুল বা কাপড় অপরিষ্কার রাখছেন
  • আপনার ঘরের দিকে খেয়াল রাখছেন না — রান্না করা বা ঘর-দোর পরিষ্কার করা বন্ধ করে দিয়েছেন, অথবা বিছানার চাদর পরিবর্তন করছেন না।

বেশিরভাগ মানুষ এগুলো সব খেয়াল করবেন না, এবং কিছু মানুষ শুধুমাত্র শারীরিক লক্ষণগুলো খেয়াল করবেন। ক্লান্তি অনুভব করা ও ঘুমের সমস্যার কারণে আপনি ভাবতে পারেন যে আপনার শারীরিক অসুস্থতা আছে, তবে এ ধরণের শারীরিক সমস্যাগুলো মানসিক অবসাদের প্রথম উপসর্গ হতে পারে।১ ২

আপনি মানসিকভাবে কতটুকু অবসাদগ্রস্ত তা আপনি হয়তো বুঝবেন না, বিশেষ করে এটি যদি ধীরে ধীরে বাড়ে। অনেকসময় মানুষ এর বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করে, এমনকি অলসতা ও ইচ্ছাশক্তির অভাবের জন্য তারা নিজেদের দোষ দিতে শুরু করে।

আপনার যে আসলেই সমস্যা আছে তা আপনাকে বিশ্বাস করাতে এবং সাহায্য চাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে পরামর্শ দিতে অনেকসময় একজন বন্ধু বা সঙ্গীর প্রয়োজন হয়।

আপনার সাহায্য চাইতে হতে পারে যদি আপনি বা কোনও বন্ধু বা সঙ্গী লক্ষ্য করেন যে :

  • মানসিক অবসাদ আপনার কাজ, পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আপনার আগ্রহ এবং অনুভূতিকে প্রভাবিত করছে
  • বেশ কিছু সময় ধরে আপনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন এবং অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না
  • আপনি অনুভব করেন যে আপনি বেঁচে থাকার যোগ্য নন, বা আপনি না থাকলেই বরং অন্যদের জন্য ভালো হবে।

উদ্বেগের লক্ষণগুলো কী?

মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়লে কিছু মানুষ খুব উদ্বিগ্ন বোধ করতে পারে।১ ৩

আপনি অস্থির, চিন্তিত, ভীত অনুভব করতে পারেন এবং অন্য মানুষদের আশেপাশে থাকতে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। অথবা আপনার শুষ্ক মুখ, ঘাম হওয়া, শ্বাসকষ্ট বা বমি আসার মতো শারীরিক লক্ষণগুলো অনুভূত হতে পারে।

মানসিক অবসাদ এবং উদ্বেগ অনুভব করলে আপনি সাধারণত সেটার জন্যই চিকিৎসা পাবেন যেটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে।

বাইপোলার ডিজঅর্ডারের (ম্যানিক ডিপ্রেশন) লক্ষণগুলো কী?

মানসিক অবসাদে ভোগা কিছু মানুষ অনেকসময় অতিরিক্ত সময়ের জন্য উচ্ছ্বাসিত ও মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা অনুভব করতে পারে। একে বলা হয় 'ম্যানিয়া' এবং এর অর্থ হতে পারে আপনার বাইপোলার ডিজঅর্ডার আছে (যাকে বলা হতো ম্যানিক ডিপ্রেশন)।৪ ৫

মানসিক অবসাদ কেন হয়?

মানসিক অবসাদ দুর্বলতার কোনও লক্ষণ নয়। সবচেয়ে দৃঢ়চেতা ব্যক্তিদেরও এটি হতে পারে — এমনকি বিখ্যাত ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদ এবং তারকারাও মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন।

কখনও কখনও মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হওয়ার একটি স্পষ্ট কারণ থাকবে, অনেকসময় না-ও থাকতে পারে। হতাশা, ভয়, বা আপনার প্রিয় কোনও বস্তু বা ব্যক্তিকে হারানোর কারণে এটা হতে পারে।

সচরাচর একাধিক কারণ থাকে এবং এগুলো প্রত্যেকের জন্য আলাদা হবে। নিচে কয়েকটি সাধারণ কারণ বর্ণনা করা হয়েছে।

জীবনের ঘটনা এবং ব্যক্তিগত পরিস্থিতি

চাপ বা কষ্টদায়ক ঘটনার কারণে মানসিক অবসাদ শুরু হতে পারে, যেমন শোক, সম্পর্ক ভাঙ্গন, বা চাকরি হারানো।৬ ৭

আপনার যদি বন্ধু বা পরিবারহীন একাকী জীবন হয়, তাহলে আপনার মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।৮ ৯

শারীরিক স্বাস্থ্য

ঘুম, খাদ্যাভাস, ব্যায়াম, আমাদের বিভিন্ন বিষয় সামাল দেওয়ার প্রক্রিয়া, সবকিছুই আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে।

শারীরিক সমস্যা, বিশেষ করে যেগুলো গুরুতর বা দীর্ঘমেয়াদী, যেগুলো মানসিক অবসাদের কারণ হতে পারে বা এটিকে আরও খারাপ করতে পারে।১০ ১১ এর মধ্যে রয়েছে :

  • ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো প্রাণঘাতী অসুস্থতা
  • দীর্ঘমেয়াদী এবং/অথবা কষ্টদায়ক অসুস্থতা, যেমন আর্থ্রাইটিস
  • ভাইরাল সংক্রমণ যেমন 'ফ্লু' বা গ্ল্যান্ডুলার জ্বর, বিশেষ করে অল্পবয়সীদের মধ্যে
  • হরমোনের সমস্যা, যেমন সুপ্ত থাইরয়েড
  • এমন অবস্থা যা মগজ বা স্নায়ুকে প্রভাবিত করে।১২

শৈশবের ট্রমা

কিছু মানুষ অন্যদের তুলনায় আরও বেশি মানসিক অবসাদের ঝুঁকিতে থাকতে পারে। এর কারণ হতে পারে শৈশবের খারাপ অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে থাকতে পারে শোষণ (শারীরিক, যৌন অথবা মানসিক), অবহেলা, সহিংস কোনও ঘটনা প্রত্যক্ষ করা, অথবা অস্থিতিশীল পারিবারিক পরিবেশ।১৩ ১৪ ১৫

অ্যালকোহল ও মাদক ব্যবহার

নিয়মিত ঘন ঘন মদ্যপান করা১৬ ১৭ অথবা গাঁজার১৮ ১৯ মতো মাদক ব্যবহার করা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে আরও অবসাদগ্রস্ত করতে পারে।

বংশগত কারণ

কারও মধ্যে তীব্র মানসিক অবসাদ, বাইপোলার ডিজঅর্ডার বা সিজোফ্রেনিয়া দেখা দিলে এর পেছনে একই ধরনের বংশগত ঝুঁকি বা ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ জড়িত থাকে। এছাড়া পরিবেশগত কারণও আছে, এবং এগুলো আপনার এই অবস্থার বিকাশের ঝুঁকি বাড়াতে বা কমাতে বংশগত ঝুঁকির সাথে প্রভাব রাখতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনার বংশগত ঝুঁকি থাকার অর্থ হলো আপনার মধ্যে তীব্র মানসিক অবসাদ বিকাশের সম্ভাবনা বেশি। তবে একটি স্থায়ী ও ভালো পরিবেশে বেড়ে ওঠা অথবা বসবাস করা আপনার মধ্যে গুরুতর মানসিক রোগ বিকাশের ঝুঁকি কমাতে পারে।

বাবা বা মায়ের গুরুতর মানসিক রোগ যেমন তীব্র মানসিক অবসাদ হলো আপনার নিজের মধ্যে গুরুতর মানসিক রোগ বিকাশের ঝুঁকির সবচেয়ে পরিচিত কারণ। যেসকল শিশুর মা অথবা বাবার গুরুতর মানসিক রোগ আছে, তাদের মধ্যে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জনের মানসিক রোগ বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।

মানসিক অবসাদ বিকাশের কারণগুলো নিয়ে ভাবার সময় এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এর সাথে অনেকগুলো বিষয় জড়িত এবং একক কোনও কারণে মানসিক অবসাদের বিকাশ হয় না।২০

লিঙ্গ ও যৌন বৈশিষ্ট্যের সাথে মানসিক অবসাদের কোনও পরিবর্তন হয় কি?

পুরুষরা মানসিক অবসাদে ভুগলে তাদের অনুভূতি নিয়ে কথা বলা এবং সাহায্য চাওয়ার সম্ভাবনা কম।২১ তারা হয়তো ভিন্নভাবে তা প্রকাশ করতে পারেন যেমন আচমকা রাগ, ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণহীনতা, বেশি বেশি ঝুঁকি নেওয়া, আক্রমণাত্মক আচরণ, এবং সবকিছুর সমাধান হিসাবে অ্যালকোহল ও মাদক ব্যবহার করা।২৩ ২৪ নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।২১ ২৩

গর্ভবতী নারীদের মধ্যে প্রায় ১২% নারী গর্ভাবস্থায় মানসিক অবসাদে ভোগেন এবং ১৫–২০% নারী সন্তান হওয়ার প্রথম বছরে অবসাদগ্রস্ত হবেন।২৪

ট্রান্সজেন্ডার মানুষ (যারা নিজেদের জন্মগত লিঙ্গের পরিবর্তে অন্য কোনও লিঙ্গ দিয়ে নিজেদেরকে পরিচিত করে) লিঙ্গ পরিবর্তন না করা মানুষদের চেয়ে আরও বেশি মাত্রায় মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগ অনুভব করতে পারে। নন-বাইনারি (যারা নিজেদের পুরুষ বা নারী কোনও লিঙ্গের বলে দাবি করে না) মানুষদেরও মানসিক অবসাদ ও উদ্বেগ বেশি পরিমাণে থাকতে পারে।২৫ ২৬

বিষমকামী মানুষদের তুলনায় লেসবিয়ান, গে বা উভকামীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা (মানসিক অবসাদসহ) থাকার সম্ভাবনা বেশি।২৭ এছাড়াও, তাদের মধ্যে আত্মহত্যা ও নিজের ক্ষতি করার প্রবণতা বেশি।২৭ ২৮

আমি কি নিজ থেকেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারি?

সুখবর হলো, মানসিক অবসাদে ভোগা বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের জন্য সহায়ক কিছু কাজ করার মাধ্যমে নিজ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। আপনি সম্ভবত নিজেই নিজের মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠতে পারবেন, যা আপনাকে ভবিষ্যতে এরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আত্মবিশ্বাস ও অর্জনের অনুভূতি দেবে।

এই লিফলেটের পরামর্শ গ্রহণ করলে আপনার মানসিক অবসাদে ভোগার সময় কমে আসতে পারে এবং এটি আপনাকে ভবিষ্যতে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

তবে, কিছু মানুষের অতিরিক্ত সাহায্যের দরকার হয়, বিশেষ করে তাদের মানসিক অবসাদ যদি গুরুতর বা দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয় অথবা নিজের উন্নতির জন্য কিছু করলে তাতে কাজ না হলে।

প্রথমবার মানসিক অবসাদে ভোগার পর দ্বিতীয়বার এই অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ, তাই সাহায্য দরকার হলে কীভাবে পাওয়া যাবে তা জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।১ ২৯

সুতরাং, আপনার যদি মনে হয় যে কারও সাথে কথা বলা উচিত, নিজেকে আটকে রাখবেন না, কারণ এটাই আপনাকে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সাহায্য করবে।

মাঝেমধ্যে অন্যদেরকে আপনার অনুভূতি বোঝাতে বেগ পেতে হতে পারে। হাল ছাড়বেন না এবং নিরাশ হবেন না, আপনি অবশ্যই সঠিক সাহায্য পাবেন।

আমি নিজেকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

মানসিক অবসাদ অনুভব করলে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার জন্য যা কিছু ভালো তা খুঁজে বের করুন এবং নিজের জন্য সর্বোত্তম পন্থাগুলোর একটি তালিকা তৈরি করুন।

কারও সাথে কথা বলুন : কোনও দুঃসংবাদ শুনলে বা শোকের সময় কষ্ট চেপে রাখার চেষ্টা করবেন না। কাছের কোনও মানুষের সাথে আপনার অনুভূতির ব্যাপারে কথা বলা সহায়ক হতে পারে। আপনি যদি মনে করেন যে কারও সাথে কথা বলতে পারবেন না, তাহলে আপনার অনুভূতিগুলো কোথাও লিখে রাখতে পারেন।

সক্রিয় থাকুন : সম্ভব হলে ব্যায়াম করার জন্য ঘরের বাইরে যান, এমনকি কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি জন্য হলেও। এটি আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখবে এবং আপনার ঘুম ভালো হবে। অন্যান্য কাজকর্মে মনোযোগ দেওয়া এবং দুশ্চিন্তা ও খারাপ অনুভূতিতে মন না দেওয়া সহায়ক হতে পারে।

সঠিকভাবে খান : ক্ষুধা না পেলেও নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। মন বিষণ্ণ থাকলে সহজেই আপনার ওজন কমে যায় এবং ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়, অথবা অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া হয় এবং অযাচিতভাবে ওজন বেড়ে যায়। সুষম খাদ্যাভাস, বেশি বেশি ফল ও সবজি খাওয়া আপনার শরীর ও মন সুস্থ রাখতে পারে।

অ্যালকোহল ও মাদক পরিহার করুন : অ্যালকোহল আপনার মন অল্প সময়ের জন্য ভালো রাখতে পারে, তবে এটা দীর্ঘ মেয়াদে আপনাকে আরও বেশি মানসিক অবসাদগ্রস্ত করে ফেলবে। একই কথা যেখানে-সেখানে বিক্রি হওয়া মাদকের জন্যেও প্রযোজ্য যেমন ক্যানাবিস, অ্যামফেটামিন, কোকেন এবং এক্সট্যাসি।

ঘুমের রুটিন তৈরি করুন : প্রতি রাতে একই সময়ে শুয়ে পড়ুন এবং প্রতি সকালে একই সময়ে জেগে উঠুন। বিছানায় যাওয়ার আগে আরামদায়ক কিছু করুন যা আপনার ভালো লাগে, যেমন প্রশান্তিদায়ক সংগীত শোনা অথবা বই পড়া। ঘুমাতে না পারলে বিছানা থেকে উঠে চুপ করে সোফায় বসে থাকতে পারেন।

প্রশান্তিদায়ক কাজ করুন : আপনি সবসময় চিন্তিত অনুভব করলে প্রশান্তিদায়ক কিছু করুন যেমন যোগ ব্যায়াম, ম্যাসাজ, অ্যারোমাথেরাপি কিংবা এমন কোনও কাজ যা আপনাকে প্রশান্তি এনে দেয়।

নিজেকে আনন্দ দেয় এমন কাজ করুন : নিয়মিত কিছু সময় নিয়ে এমন কাজ করুন যা আপনি উপভোগ করেন, যেমন গেম খেলা, বই পড়া, কিংবা অন্য কোনও শখের কাজ।

মানসিক অবসাদ সম্পর্কে পড়ুন : মানসিক অবসাদ সম্পর্কে অনেক বই ও ওয়েবসাইট আছে। কী ঘটছে বুঝতে, কৌশলগতভাবে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে এবং আপনি কীরূপ সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তা বুঝতে এগুলো সাহায্য করতে পারে।

নিজের প্রতি দয়াশীলতা অনুশীলন করুন : আপনি হয়তো একজন নিখুঁত মানুষ যিনি অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন। লক্ষ্য বা প্রত্যাশা ঠিক করার ব্যাপারে আরও বাস্তবিক হোন। নিজের প্রতি দয়াশীল হোন।

বিরতি নিন : অল্প কিছু দিনের জন্য নিজের স্বাভাবিক রুটিনের বাইরে যাওয়া আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। দৈনন্দিন চাপ ও চিন্তা থেকে নিজেকে একটু বিরতি দিন। চেনা পরিবেশের বাইরে কয়েক ঘন্টা থাকাও আপনার উপকারে আসতে পারে।

একটি সাপোর্ট গ্রুপে যোগ দিন : মানসিক অবসাদগ্রস্ত থাকলে নিজেকে সাহয্য করা কঠিন হতে পারে। একই পরিস্থিতিতে থাকা অন্য মানুষদের সাথে কথা বলা আপনাকে অনেক সাহায্য করতে পারে। কিছু ধারণা পেতে লিফলেটের শেষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা দেখতে পারেন।

আশাবাদী থাকুন : মনে রাখবেন, অন্য অনেক মানুষও মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিলেন এবং তারা সুস্থ হয়েছেন। আপনার জন্য সাহায্য প্রস্তুত আছে এবং সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য দরকারি সাহায্য আপনার প্রাপ্য।

আমি মানসিক অবসাদের জন্য কী ধরনের সাহায্য পেতে পারি?

নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টায় কাজ না হলে অথবা অগ্রগতি ধীর হলে আপনার জিপির সাথে কথা বলুন।

মানসিক অবসাদে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষ তাদের জিপির কাছ থেকে চিকিৎসা নেন। আপনি নিয়মিত কোনও জিপিকে না দেখালে আপনার এলাকায় কোনও ডাক্তার খুঁজে বের করুন যার সাথে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন এবং যার কাছে আপনি নিয়মিত যেতে পারবেন।

আপনার উপসর্গগুলো পর্যালোচনা করা এবং আপনার জন্য কোন চিকিৎসা কাজ করবে তা বোঝার জন্য জিপি আপনার সাথে কথা বলবেন।

যেসব বিষয়ের ওপর আপনার সর্বোত্তম চিকিৎসা নির্ভর করবে সেগুলো হলো আপনার বর্তমান মানসিক অবসাদের স্তর, এটি কতক্ষণ স্থায়ী হয়েছে, এবং আপনি অতীতে আপনার মানসিক অবসাদ ছিল কি না।

আপনার জিপি আপনাকে প্রাসঙ্গিক কিছু শারীরিক পরীক্ষা দিতে পারেন। এর কারণ হলো কিছু শারীরিক অসুস্থতা মানসিক অবসাদের কারণ হতে পারে। আপনি ইতিমধ্যেই কোনও শারীরিক অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা নিয়ে থাকলে আপনার জিপিকে এটি জানান।

প্রাথমিক চিকিৎসা (হালকা মানসিক অবসাদ)

আপনি যদি প্রথমবারের মতো মানসিক অবসাদে ভোগেন, আপনাকে সাধারণত অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট দেওয়া হবে না। আপনার জিপি একটি কম তীব্র মনস্তাত্ত্বিক হস্তক্ষেপের (টকিং থেরাপি বা কথা বলার মাধ্যমে চিকিৎসা) পরামর্শ দিতে পারেন যেমন :১ ২

  • জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি বা কগনিটিভ বিহেভিয়েরাল থেরাপি (সিবিটি) নীতিমালার ভিত্তিতে সেলফ-হেল্প লিফলেট বা বই (একজন পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায়)
  • কম্পিউটার-ভিত্তিক সেলফ-হেল্প সিবিটি কর্মসূচি (একজন পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায়)
  • দলগত অনুশীলন
  • পিয়ার সাপোর্ট সেলফ-হেল্প বা সিবিটির ওপর ভিত্তি করে একটি দলগত কর্মসূচি

আপনার জন্য সঠিক পদ্ধতি বেছে নিতে আপনার জিপি আপনাকে সাহায্য করবেন।

যদি এগুলো ঠিকমতো কাজ না করে, আপনার জিপি আপনাকে পরবর্তী অনুচ্ছেদে থাকা মাঝারী বা তীব্র মানসিক অবসাদের চিকিৎসাগুলোর মধ্যে একটি শুরু করার পরামর্শ দেবেন।

অধিকতর চিকিৎসা (মাঝারি ও তীব্র মানসিক অবসাদ)

আপনার জিপি শক্তিশালী মনস্তাত্ত্বিক হস্তক্ষেপ বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (মানসিক অবসাদের ওষুধ) অথবা উভয়ই শুরু করার পরামর্শ দিতে পারেন। আপনার জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে তার সাথে কথা বলুন।

মনস্তাত্ত্বিক হস্তক্ষেপ

মানসিক অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য অনেক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক হস্তক্ষেপ রয়েছে। আপনার এলাকায় যেটি পাওয়া যায়, আপনাকে সেটি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।

নির্দিষ্ট কোনও মনস্তাত্ত্বিক হস্তক্ষেপের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য আপনি যদি অপেক্ষামান তালিকায় থাকেন, তাহলে এ সময়ে নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনি কী করতে পারেন তা নিয়ে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

কগনিটিভ বিহেভিয়েরাল থেরাপি (সিবিটি)

আমাদের অনেকেরই এমন বিষয় নিয়ে নেতিবাচক চিন্তাভাবনার অভ্যাস রয়েছে যা জীবনে ঘটেনি। এগুলো আমাদেরকে মানসিক অবসাদগ্রস্ত করে তুলতে পারে। সিবিটি যেভাবে সাহায্য করে :

  • আমাদের চিন্তাভাবনার অবাস্তব ও অসহায়ক পথ খুঁজে বের করে
  • তারপর চিন্তাভাবনা এবং আচরণের নতুন ও উত্তম উপায় বের করে।

মানসিক অবসাদের চিকিৎসা হিসাবে সিবিটি সর্বোত্তম বলে প্রমাণ রয়েছে।১ ৩০ ৩১

ইন্টারপার্সোনাল থেরাপি (আইপিটি)

ইন্টারপার্সোনাল থেরাপি পরিবার, সঙ্গী এবং বন্ধুদের সাথে আপনার সম্পর্কের যে-কোনো সমস্যা চিহ্নিত করতে এবং সমাধান করতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

আচরণগত সক্রিয়তা

আচরণগত সক্রিয়তা আপনাকে আরও ইতিবাচক আচরণ বিকাশ করতে উৎসাহিত করে, যেমন বিভিন্ন কাজের পরিকল্পনা করা এবং গঠনমূলক কাজ করা করা যা আপনি সাধারণত করেন না।

কাপল থেরাপি (দম্পতিদের জন্য চিকিৎসা)

টিআপনি যদি এমন একটি সম্পর্কের মধ্যে থাকেন যা আপনার মানসিক অবসাদকে প্রভাবিত করছে বলে মনে হয়,তাহলে কাপল থেরাপি আপনার মানসিক অবসাদ ও সম্পর্কের যোগসূত্র বুঝতে সহায়তা করবে। এটি আপনাকে আপনার সঙ্গীর সাথে আরও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

কাউন্সেলিং

প্রশিক্ষিত কাউন্সেলররা আপনাকে আপনার উপসর্গ ও সমস্যাগুলো বুঝতে এবং আপনাকে সহায়তা ও নির্দেশনা প্রদান করতে পারেন।

সাইকোডায়নামিক সাইকোথেরাপি

আপনার অতীত অভিজ্ঞতা আপনার বর্তমান জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে দেখাতে এই চিকিৎসা আপনাকে সাহায্য করে।

অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (মানসিক অবসাদের ওষুধ)

যদি আপনার মানসিক অবসাদ মাঝারি বা গুরুতর হয় অথবা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তার অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের একটি কোর্সের পরামর্শ দিতে পারেন, এটি সাধারণত একটি সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটর (এসএসআরআই)।১ ৩২ আপনার জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো হবে তা নিয়ে ডাক্তার আপনার সাথে কথা বলবেন। এটি কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে যেমন আপনি অতীতে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস গ্রহণ করেছেন কি না, আপনি অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করেন কি না, এবং আপনার অন্যান্য শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে কি না।

অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?

সব ওষুধের মতোই অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টেরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যদিও এগুলো সাধারণত হালকা হয় এবং কয়েক সপ্তাহ পরেই বন্ধ হয়ে যায়।৩২ ৩৩

আপনি কী আশা করতে পারেন, সে বিষয়ে আপনার চিকিৎসক আপনাকে পরামর্শ দেবেন। আপনি কোনও বিষয় নিয়ে চিন্তিত হলে অথবা অনেক বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে আপনার চিকিৎসককে জানান। এছাড়াও, আপনার ফার্মাসিস্টের কাছ থেকে ওষুধের ব্যাপারে লিখিত তথ্য পাবেন।

যদি কোনও অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট কারণে আপনার ঘুম আসে, তাহলে এটি রাতে খাবেন যাতে করে আপনি সহজে ঘুমাতে পারেন। তবে দিনের বেলায়ও আপনার ঘুম ঘুম ভাব থেকে গেলে ঘুমের রেশ না কাটা পর্যন্ত গাড়ি বা যন্ত্রপাতি চালাবেন না। অ্যালকোহলের সাথে ওষুধ খেলে আপনার অনেক বেশি ঘুম আসতে পারে, তাই এটি না করাই উত্তম।৩৪

অন্য ওষুধ বা মাদকের (যেমন নিকোটিন বা অ্যালকোহল) ক্ষেত্রে যেমন আরও সেবনের আকাঙ্ক্ষা হয় কিংবা মনে হয় যে ফল পেতে আরও সেবন করা লাগবে, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের বেলায় তেমন হয় না।

আমাকে কতদিন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট সেবন করতে হবে?

প্রথমে, চিকিৎসায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে কি না নিশ্চিত হতে নিয়মিত আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে (প্রথমে ২ সপ্তাহ ধরে, তারপর প্রথম ৩ মাসে ২–৪ সপ্তাহ অন্তর, তারপর ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবেন)।

আপনার মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা আসলে অথবা আপনার বয়স ৩০ বছরের কম হলে, আপনাকে আরও ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে যেতে বলা হতে পারে (সাধারণত প্রতি সপ্তাহেই)। এর কারণ হলো কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ভাবনা বাড়াতে পারে, বিশেষ করে কম বয়সীদের মধ্যে।

অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট সেবনের ফলে আপনি ভালো বোধ করলেও কমপক্ষে ৬ মাস ধরে ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। এটা আপনার মানসিক অবসাদ ফিরে আসার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অতীতে মানসিক অবসাদের ভোগার ইতিহাস থাকলে আরও দীর্ঘ সময় ধরে ওষুধ চালিয়ে যাওয়া লাগতে পারে। কখন এগুলো সেবন করা বন্ধ করতে হবে এবং এই কাজটি কীভাবে নিরাপদে করা যায়, তা নিয়ে আপনার ডাক্তার আপনাকে পরামর্শ দেবেন।

হঠাৎ করে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট গ্রহণ করা বন্ধ করলে আপনি ওষুধ বন্ধের লক্ষণগুলো অনুভব করবেন। এর মধ্যে আছে ঘুমের সমস্যা, দুশ্চিন্তা, মাথা ঘোরা বা পেটে ব্যথা।

অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট গ্রহণের ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ পরেও যদি আপনার মনে হয় যে সেগুলো কাজ করছে না, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। তিনি আপনার ডোজ পরিবর্তন করে দিতে পারেন বা আপনাকে ভিন্ন ধরনের অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট বা ওষুধ দিতে পারেন।

অতিরিক্ত সাহায্য পাওয়া (তীব্র মানসিক অবসাদ)

মানসিক অবসাদে ভোগা বেশিরভাগ মানুষই তাদের জিপির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য পান। জিপির মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়ার পরও যদি আপনার অবস্থার উন্নতি না হয় এবং আপনার বিশেষজ্ঞ সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনাকে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা কোনও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আপনার অতীত জীবনে ঘটে যাওয়া সাধারণ ঘটনাবলী, গুরুতর অসুস্থতা বা মানসিক সমস্যার কথা জানতে চাইবেন।

সাম্প্রতিক সময়ে আপনার জীবনের কী ঘটেছে, কীভাবে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়েছে এবং আপনি ইতিমধ্যেই কোনও চিকিৎসা নিয়েছেন কি না, তিনি এসব ব্যাপারেও জানতে চাইবেন।

অনেকসময় এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন হতে পারে, তবে এই তথ্যগুলো ডাক্তারকে আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসাবে চিনতে সাহায্য করবে এবং আপনার জন্য কোন ধরনের চিকিৎসা উত্তম তার একটি ধারণা পাওয়া যাবে।

আপনার মানসিক অবসাদ তীব্র হলে বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসার প্রয়োজন হলে আপনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসতে হতে পারে। আপনার পরিচর্যাকারী দল নিশ্চিত করবে যে আপনি সঠিক চিকিৎসা এবং সহায়তা পাচ্ছেন।

ইলেক্ট্রোকনভালসিভ থেরাপি (ইসিটি)

ইলেক্ট্রোকনভালসিভ থেরাপি (সংক্ষেপে ইসিটি) মূলত যেসব ক্ষেত্রে চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহৃত হয় :

  • তীব্র মানসিক অবসাদের কারণে যদি রোগীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে এবং তার জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে
  • মাঝারি বা তীব্র মানসিক অবসাদে অন্য কোনও চিকিৎসা কাজ না করলে।

ইসিটির মাধ্যমে মস্তিষ্কের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক প্রবাহ হয়, তাই এটি সবসময় হাসপাতালে জেনারেল অ্যানেস্থেটিক দেওয়ার পর করা হয়। ইসিটি করার পর কিছু রোগীর স্মৃতির সাময়িক সমস্যা হয়ে থাকে।

বিকল্প চিকিৎসা

সেন্ট জন'স ওয়ার্ট হলো একটি ভেষজ ওষুধ। এটি স্বাস্থ্যকর খাবারের দোকান ও ফার্মেসিতে পাওয়া যায় এবং মানসিক অবসাদের জন্য কিছু মানুষ এটি ব্যবহার করেন। ডাক্তাররা সাধারণত এটি সেবনের পরামর্শ দেন না কারণ :

  • মানসিক অবসাদের জন্য এর সঠিক ডোজ পরিষ্কারভাবে জানা নেই
  • একেকটির উপাদান একেকরকম হতে পারে
  • অন্যান্য ওষুধের (বিশেষ করে গর্ভনিরোধক পিল, অ্যান্টিকোগুল্যান্ট বা অ্যান্টিকনভালসেন্ট) সাথে গ্রহণ করলে এটি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

আরও পরামর্শের জন্য আপনার জিপি বা ফার্মাসিস্টের সাথে কথা বলুন।

মানসিক অবসাদগ্রস্ত কোনও ব্যক্তিকে আমি কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

  • তার কথা শুনুন। এটি সহজ শোনলেও বাস্তবে কঠিন হতে পারে। আপনাকে একই কথা বারবার শুনতে হতে পারে। কোনও সমস্যা নিয়ে রোগী পরামর্শ না চাইলে নিজ থেকে পরামর্শ দেবেন না, এমনকি আপনার কাছে পরিষ্কার সমাধান থাকলেও না। কোনও বিশেষ সমস্যার কারণে মানসিক অবসাদ দেখা দিলে আপনি হয়তো সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারেন অথবা অন্ততপক্ষে অসুবিধা মোকাবিলার উপায় বাতলে দিতে পারেন।
  • তার সাথে সময় কাটান। মানসিক অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির সাথে সময় কাটানো তার জন্য সহায়ক। তাকে জানান যে আপনি তাদের পাশে আছেন, এটি তাকে কথা বলতে এবং সুস্থ হওয়ার জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।
  • তাকে আশ্বস্ত করুন। মানসিক অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির পক্ষে তিনি কখনও সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে বিশ্বাস করা কঠিন হবে। তাকে আশ্বস্ত করুন যে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন, তবে আপনাকে বারবার এটি করতে হতে পারে।
  • তাকে নিজের যত্ন নিতে সহায়তা করুন। তিনি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার কিনছেন ও খাচ্ছেন কি না দেখুন, তার খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ফলমূল ও সবজি থাকা নিশ্চিত করুন। তাকে বাইরে বের হতে এবং কিছু ব্যায়াম ও আনন্দদায়ক কাজ করতে সাহায্য করতে পারেন। অ্যালকোহল ও ওষুধের মাধ্যমে তাদের মানসিক অবস্থা ভালো করার প্রচেষ্টার চেয়ে এটি ভালো হবে।
  • তার কথা গুরুত্বসহকারে নিন। তার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে, জীবন শেষ করে ফেলার কথা বললে অথবা এমনকি নিজের ক্ষতির কথা বললেও কথাগুলো গুরুত্বসহকারে নিন। নিশ্চিত করুন যে তিনি তার ডাক্তারকে এগুলো জানাচ্ছেন।
  • তাকে সহায়তা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন। তাকে ডাক্তারের সাথে দেখা করতে, ওষুধ খেতে বা তার থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলরের সাথে কথা বলতে উৎসাহিত করুন। যদি তিনি তার চিকিৎসার বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে তাকে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করতে উৎসাহিত করুন।
  • নিজের যত্ন নিন। মানসিক অবসাদগ্রস্ত কাউকে সাহায্য করতে গিয়ে নিজের মানসিক শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হতে পারে, তাই নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখুন।

পরিচিত কারও আত্মহত্যা করা নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হলে

মানসিক অবসাদে ভোগা অল্প সংখ্যক মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে বা করার চেষ্টা করতে পারে।৩৫ ৩৬

কাউকে নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হলে তার সাথে আত্মহত্যার চিন্তা ও অনুভূতি নিয়ে কথা বলা এবং এগুলো গুরুত্বের সাথে নেওয়া জরুরী।

কাউকে তাদের আত্মহত্যার অনুভূতি বা চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা তাদের মনে ধারণাটি রোপণ করবে না বা এই ধরনের চিন্তাভাবনার ভিত্তিতে তাদের কাজ করার সম্ভাবনা বাড়াবে না৩৭ ৩৮

এর পরেও আপনি কাউকে নিয়ে চিন্তিত থাকলে সাহায্য ও পরামর্শের জন্য নিচের যে-কোনো পরিষেবার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

দ্য জিরো সুইসাইড অ্যালায়েন্স আত্মহত্যা সচেতনতা এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে বিনামূল্যে অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রদান করে। কোনও ব্যক্তি কাউকে নিয়ে যদি উদ্বিগ্ন থাকে ও সহায়তা করতে চায়, এখান থেকে শুরু করা যেতে পারে।

আত্মহত্যার চিন্তার জন্য সাহায্য পাওয়া

এই মুহূর্তে আপনার কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে বেশ কিছু পরিষেবা রয়েছে যেখান থেকে আপনি সাহায্য পেতে পারেন :

যুক্তরাজ্যজুড়ে

ওয়েলস

স্কটল্যান্ড

  • ব্রিদিং স্পেস (স্কটল্যান্ড)-এ ভিজিট করুন অথবা ০৮০০ ৮৩ ৮৫ ৮৭ (ফ্রিফোন)-এ কল করুন

উত্তর আয়ারল্যান্ড

  • লাইফলাইন-এ ভিজিট করুন অথবা ০৮০৮ ৮০৮ ৮০০০ (ফ্রিফোন)-এ কল করুন

আপনার যদি মনে হয় যে আপনি এই মুহূর্তে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন না এবং হাতের কাছে থাকা অন্যান্য সহায়তা আপনার জন্য যথেষ্ট নয়, ৯৯৯-এ কল করুন অথবা আপনার নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যান। অথবা আপনি অন্য কাউকে আপনার হয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করতে বা আপনাকে জরুরী বিভাগে নিয়ে যেতে বলতে পারেন।

আরও সাহায্য

অ্যাসোসিয়েশন ফর পোস্টন্যাটাল ইলনেস (এপিএনআই) : এপিএনআই প্রসবোত্তর মানসিক অবসাদসহ মায়েদের সহায়তা প্রদান করে। এই সমস্যা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে এবং এর কারণ ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য তারা কাজ করে। হেল্পলাইন : ০২০৭ ৩৮৬ ০৮৬৮ (সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা - দুপুর ২টা)।

ব্ল্যাক, আফ্রিকান অ্যান্ড এশিয়ান থেরাপি নেটওয়ার্ক (বিএএটিএন) : কৃষ্ণবর্ণ, আফ্রিকান, দক্ষিণ এশীয় এবং ক্যারিবিয়ান জনগণের জন্য উপযুক্ত মনস্তাত্ত্বিক পরিষেবাগুলো প্রাপ্যতার বৈষম্য মোকাবিলার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম স্বাধীন সংস্থা। তারা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করে, তাদের ডিরেক্টরিতে থেরাপিস্ট, ইভেন্ট, প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য সংস্থান খুঁজে পাওয়া যাবে। ইমেইল : connect@baatn.org.uk

সিএএলএম বা কাল্ম (ক্যাম্পেইন অ্যাগেইন্সট লিভিং মিজারেবলি) : একটি জাতীয় প্রচারাভিযান যা তরুণদের মধ্যে মানসিক অবসাদ এবং আত্মহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার ওপর আলোকপাত করে। গোপনীয় হেল্পলাইন : ০৮০০ ৫৮ ৫৮ ৫৮ (বিকাল ৫টা থেকে মধ্যরাত, সপ্তাহে ৭ দিন)।

ডিপ্রেশন ইউকে : মানসিক অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি জাতীয় পারস্পরিক সাপোর্ট গ্রুপ। ইমেইল : info@depressionuk.org

মেন’স হেলথ ফোরাম : একটি দাতব্য সংস্থা যা ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডে গবেষণার মাধ্যমে পুরুষদের স্বাস্থ্য সহায়তা দেয়, পুরুষদের স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করে। ফোন : ০২০ ৭৯২২ ৭৯০৮।

মেন্টাল হেলথ ফোরাম : একটি অনলাইন সম্প্রদায় যেখানে মানুষরা সমঅভিজ্ঞতার মানুষদের কাছ থেকে পারস্পরিক সমর্থন পেতে পারে।

মাইন্ড : একটি মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক দাতব্য সংস্থা যা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করে, এবং সেইসাথে স্থানীয় পিয়ার সাপোর্ট গ্রুপ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। হেল্পলাইন : ০৩০০ ১২৩ ৩৩৯৩ (সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা, সোমবার থেকে শুক্রবার)। অন্য কাউকে সমর্থন দেওয়া ব্যক্তিরা কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন, সে সম্পর্কেও তথ্য সরবরাহ করে। আপনি যেখানে থাকেন তার কাছাকাছি একটি মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা খুঁজে পেতে লোকাল মাইন্ডস আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

মাইন্ডআউট : লেসবিয়ান, গে, উভকামী, ট্রান্স এবং কুইয়ার (এলজিবিটিকিউ) মানুষদের দ্বারা এবং তাদের জন্য পরিচালিত একটি মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা। তারা পরামর্শ ও তথ্য, অনলাইন সহায়তা, কাউন্সেলিং, পিয়ার সাপোর্ট এবং অ্যাডভোকেসি প্রদান করে। ফোন : ০১২৭৩ ২৩৪ ৮৩৯; ইমেইল : info@mindout.org.uk

এনএইচএস : মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোর প্রাপ্তি সম্পর্কিত তথ্য

প্যাপিরাস হোপলাইন ইউকে : একটি পেশাদার কর্মীদের হেল্পলাইন। ৩৫ বছরের কম বয়সী যেসকল ব্যক্তি আত্মহত্যার চিন্তা করছেন কিংবা যারা অন্য কারও জন্য উদ্বিগ্ন, এই প্রতিষ্ঠানটি তাদেরকে সহায়তা, ব্যবহারিক পরামর্শ এবং তথ্য প্রদান করে। হোপলাইন : ০৮০০ ০৬৮ ৪১ ৪১।

রিডিং ওয়েল এজেন্সি : বুকস অব প্রেসক্রিপশন : একটি পদ্ধতি যা সেলফ-হেল্প পাঠ পদ্ধতি ব্যবহার করে মানুষদেরকে সুস্থ হতে সহায়তা করে। এটি রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টসসহ স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের দ্বারা অনুমোদিত এবং পাবলিক লাইব্রেরি দ্বারা সমর্থিত।

রিলেট : যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম সম্পর্কের সহায়তা প্রদানকারী (রিলেশনশিপ সাপোর্ট) সংস্থা। তারা বিভিন্ন ধরনের কাউন্সেলিং পরিষেবা প্রদান করে। অনুসন্ধান : ০৩০০ ০০৩ ০৩৯৬।

সামারিটানস : যুক্তরাজ্য এবং রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত একটি জাতীয় দাতব্য সংস্থা যারা আত্মঘাতী বা দুর্দশাগ্রস্ত যে-কোনো ব্যক্তিকে গোপনীয় মানসিক সহায়তা প্রদান করে। হেল্পলাইন : ১১৬ ১২৩। ইমেইল : jo@samaritans.org

সেইনলাইন: একটি জাতীয় টেলিফোন হেল্পলাইন যা কর্মঘণ্টার বাইরে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মানসিক সহায়তা ও তথ্য প্রদান করে। হেল্পলাইন : ০৩০০ ৩০৪ ৭০০ (প্রতিদিন বিকাল ৪.৩০ থেকে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত)। ইমেইল : support@sane.org.uk

স্টোনওয়াল : পরিষেবা এবং স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর তথ্যসহ এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়গুলোর জন্য তথ্য ও সহায়তা প্রদান করে। ফ্রিফোন : ০৮০০ ০৫০ ২০২০ (সোমবার থেকে শুক্রবার, ৯:৩০–৪:৩০) ইমেইল :info@stonewall.org.uk

সুইচবোর্ড : একটি এলজিবিটিকিউ+ হেল্পলাইন। নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য, যৌনতা এবং/অথবা লিঙ্গ পরিচয়ের বিষয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক যে কাউকে তথ্য, সহায়তা এবং রেফারেল পরিষেবা প্রদান করে। তাদের সাথে অনলাইন চ্যাট করা যাবে, ফোনলাইন : ০৩০০ ৩৩০ ০৩৬০ (প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত) ইমেইল : chris@switchboard.lgbt

ইয়াং মাইন্ডস : একটি জাতীয় দাতব্য সংস্থা যা ২৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশু এবং তরুণ-তরুণীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অভিভাবকদের হেল্পলাইন : ০৮০৮ ৮০২ ৫৫৪৪ ( সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯.৩০ থেকে বিকাল ৪টা)।

জিরো সুইসাইড অ্যালায়েন্স : আত্মহত্যার বিষয়ে সচেতনতা এবং প্রতিরোধের বিষয়ে বিনামূল্যে অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যাতে করে মানুষ অন্য কারও জন্য উদ্বিগ্ন হলে সাহায্য করতে পারে।

স্বীকৃতি

রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টস পাবলিক এনগেজমেন্ট এডিটোরিয়াল বোর্ড এবং ন্যাশনাল কোলাবোরেটিং সেন্টার ফর মেন্টাল হেলথ দ্বারা তৈরি।

সিরিজ সম্পাদক : ড. ফিল টিমস

সিরিজ ম্যানেজার : থমাস কেনেডি

© অক্টোবর ২০২০ রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টস

This translation was produced by CLEAR Global (Aug 2023)

Read more to receive further information regarding a career in psychiatry