শোক

Bereavement

Below is a Bengali translation of our information resource on bereavement. You can also view our other Bengali translations.

এই তথ্যটি যারা শোকাহত হয়েছেন তাদের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব ও অন্য কেউ যারা আরও জানতে চায় তাদের জন্য।

এই পৃষ্ঠায় আপনি যে বিষয়গুলো সম্পর্কে তথ্য পাবেন:

  • সাধারণত ক্ষতির পরে মানুষ কীভাবে শোক করে
  • অমীমাংসিত শোক
  • সাহায্য পাওয়ার জায়গা
  • তথ্যের অন্যান্য উৎস
  • বন্ধু এবং আত্মীয়রা কীভাবে সাহায্য করতে পারে।

শোক কাকে বলে?

শোক একটি যন্ত্রণাদায়ক কিন্তু সাধারণ অভিজ্ঞতা। আমরা বেশিরভাগই আমাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে যাকে ভালবাসি তার মৃত্যু বা হারানোর বেদনা অনুভব করবো।

তবুও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা মৃত্যু সম্পর্কে খুব কম চিন্তা করি এবং কম কথা বলি, সম্ভবত এই কারণে যে আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় আমরা অনেক কম এটির মুখোমুখি হয়েছি। শৈশবে বা কৈশোরে তাদের কাছে ভাই বা বোন, বন্ধু বা আত্মীয়ের মৃত্যু ছিল জীবনের একটি সাধারণ অংশ। আমাদের ক্ষেত্রে এই ক্ষতিগুলো সাধারণত জীবনের শেষের দিকে ঘটে। এই কারণে আমরা শোক সম্পর্কে জানার সুযোগ পাই না - এই সময়ে কেমন অনুভূত হয়, কী করলে ভালো হয়, কী করা 'স্বাভাবিক'। আর এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতাও আমাদের নেই।

তবুও শেষ পর্যন্ত আমরা যখন আমাদের ভালোবাসার কাউকে হারাই তখন আমাদের তা মেনে নিতে হবে। আমরা সবাই আলাদা এবং আমাদের শোক করার নিজস্ব ধরন আছে - তবে এমন কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে যা আমরা বেশিরভাগই শোকের সময় অনুভব করি।

আমরা কীভাবে শোক অনুভব করি

আমরা যে কোনো ধরণের ক্ষতির পরে শোক অনুভব করি, তবে সবচেয়ে বেশি করি যাকে ভালবাসি তার মৃত্যুর পরে। শোক কেবল একটি অনুভূতি নয়, বরং অনেকগুলো অনুভূতির ধারাবাহিকতা। এগুলো কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে, এবং প্রত্যেক ব্যক্তিই তাদের নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে।

আমরা এমন কারো জন্য শোক অনুভব করি যাকে আমরা অনেক দিন ধরে চিনি। তবে যাদের মৃত সন্তান জন্ম নিয়েছে বা গর্ভপাত হয়েছে, বা যারা খুব অল্প বয়সী সন্তানকে অকালে হারিয়েছেন, তারাও একইভাবে শোক অনুভব করেন। তাদেরও একই ধরনের যত্ন ও বিবেচনার প্রয়োজন।

শোক করার সময় মানুষ বিভিন্ন আবেগের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। এই অনুভূতিগুলো কোনো নির্দিষ্ট ক্রমে উপস্থিত হয় না। আপনি সব শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করার পরও ঐ অনুভূতি আবার ফিরে আসতে পারে। আবার কেউ কেউ এই অনুভূতিগুলো অনুভব নাও করতে পারে।

আঘাত

নিকটাত্মীয় বা বন্ধুর মৃত্যুর পরে, বেশিরভাগ মানুষ আঘাত পান, যেন তারা বিশ্বাসই করতে পারেন না যে এটি আসলে ঘটেছে। মৃত্যুর আশঙ্কা থাকলেও তারা এমনই অনুভব করতে পারে।

মানসিক অসাড়তার এই বোধ আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করা এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনের মতো সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা সামলাতে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু এই অবাস্তব অনুভূতি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। কারো কারো জন্য মৃত ব্যক্তির দেহ দেখা এই আঘাত কাটিয়ে ওঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে।

অনেক মানুষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বা স্মরণ সভায় যা ঘটেছে তার বাস্তব প্রভাবকে অনুভব করা শুরু করে। মৃতদেহ দেখা বা অন্তেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়া কষ্টদায়ক হতে পারে তবে এগুলোই আমাদের ভালবাসার মানুষকে বিদায় জানানোর উপায়। সেই সময়ে আপনার মনে হতে পারে যে অন্তেষ্টিক্রিয়ায় যাওয়া খুব বেদনাদায়ক। কিন্তু সেখানে না গেলে ভবিষ্যতে অনেকে তা নিয়ে অনুশোচনা করবেন।

অস্বীকার

যদিও শীঘ্রই এই অসাড়তা চলে গিয়ে সেখানে অস্বীকারের অনুভূতি জেগে উঠতে পারে। যা ঘটেছে তা মেনে নিতে আপনার কষ্ট হয়। আপনি সত্য জানলেও নিজেকে সেটা বোঝাতে পারেন না। আপনি মৃত ব্যক্তির সঙ্গ পেতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। আপনি যেকোনো উপায়ে তাদের ফিরে পেতে চান, যদিও তা অসম্ভব। তখন নিজেকে শান্ত করা বা কোনো কিছুতে মনোযোগ দেয়া কষ্টকর হয় এবং আপনার ভালোমতো ঘুমাতে অসুবিধা হয়। স্বপ্নগুলোও খুব কষ্টদায়ক হয়।

কিছু মানুষ মনে করে যে তারা যেখানেই যায় - রাস্তায়, পার্কে, বাড়ির আশেপাশে, যেখানেই তারা একসাথে সময় কাটিয়েছে সেখানেই তারা তাদের প্রিয়জনকে 'দেখে'।

রাগ এবং অপরাধবোধ

আপনি এই সময়ে খুব রেগে যেতে পারেন - ডাক্তার এবং নার্সদের প্রতি যারা মৃত্যু রোধ করতে পারেননি, বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়দের প্রতি যারা যথেষ্ট সাহায্য করেনি, এমনকি সেই ব্যক্তির প্রতিও যিনি মৃত্যুবরণ করে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছেন। এমনকি কিছু করতে না পারার জন্য আপনি নিজের উপর রাগ করতে পারেন।

আরেকটি সাধারণ অনুভূতি হলো অপরাধবোধ। আপনি তাকে যে সব জিনিস বলতে চাইতেন বা তার জন্য করতে চাইতেন, সেগুলো নিয়ে বারবার ভাবেন। এমনকি আপনি এটাও ভাবতে পারেন যে, অন্যরকম কিছু করলে হয়ত আপনি কোনোভাবে মৃত্যুকে প্রতিরোধ করতে পারতেন। অবশ্যই মৃত্যু কারো নিয়ন্ত্রণে নেই এবং শোকার্ত ব্যক্তিকে তা মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এমনকি আপনার প্রিয়জন বেদনাদায়ক বা যন্ত্রণাদায়ক অসুস্থতার পর মৃত্যুর মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছেন ভেবে স্বস্তিবোধ করলেও আপনার নিজেকে অপরাধী বলে মনে হয়। স্বস্তির এই অনুভূতি স্বাভাবিক, বোধগম্য এবং খুব সাধারণ।

দুঃখ

অস্বস্তির এই অবস্থার পর আপনি সাধারণত নীরব শোক বা একাকীত্ব এবং নির্জনতার মধ্যে ডুবে যান, যখন আপনি কেবল নিজের মতো থাকতে চান। আবেগের এই আকস্মিক পরিবর্তনগুলো বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের কাছে বিভ্রান্তিকর লাগতে পারে তবে এগুলো শোকের অন্যতম অংশ। 

যদিও আপনি কম উত্তেজিত বোধ করেন, সময়ের সাথে সাথে মানসিক অবসাদ ক্রমাগত বাড়তে থাকে। কখনো কখনো আপনার হারানো মানুষটির স্মৃতি ফিরিয়ে আনে এমন মানুষ, স্থান বা জিনিসের কারণে আপনি শোক অনুভব করতে পারেন।

আপনি কোনও সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই হঠাৎ কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে আশেপাশের মানুষের বুঝতে অসুবিধা হতে পারে বা তারা বিব্রত হতে পারে। এই পর্যায়ে যারা আপনার শোক পুরোপুরি বুঝতে পারে না বা শেয়ার করে না এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয় মনে হতে পারে। তবে, অন্যকে এড়ানো ভবিষ্যতের জন্য সমস্যা বাড়াতে পারে এবং সাধারণত কয়েক সপ্তাহ বা তার পরে স্বাভাবিক জীবনে (যতদূর সম্ভব) ফিরে আসা শুরু করা ভাল।

এই সময়ে অন্যদের কাছে মনে হতে পারে যে আপনি কেবল বসে বসে সময় কাটাচ্ছেন, কিছুই করছেন না। প্রকৃতপক্ষে আপনি সম্ভবত সেই ব্যক্তিকে নিয়ে ভাবছেন যাকে আপনি হারিয়েছেন, আপনারা একসাথে যে ভাল এবং খারাপ সময় কাটিয়েছেন তা নিয়ে ভাবছেন। এটি মৃত্যুকে মেনে নেওয়ার একটি নিরব তবে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

সময় পেরোনোর সাথে সাথে প্রাথমিক শোকের তীব্র যন্ত্রণা ম্লান হতে শুরু করে। মানসিক অবসাদ কমতে থাকে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করা এমনকি ভবিষ্যতের কথা ভাবাও সম্ভব হয়। কিন্তু নিজের একটি অংশ হারিয়ে ফেলার অনুভূতি কখনই পুরোপুরি মুছে যায় না।

আপনি যদি আপনার জীবনসঙ্গীকে হারিয়ে থাকেন তাহলে অন্যান্য দম্পতিদের একসাথে দেখা বা সুখী পরিবারের ছবি দেখার মাধ্যমে একাকীত্ব সবসময় আপনাকে তার কথা স্মরণ করিয়ে দিবে। তবুও কিছু সময় পরে আপনি আবার সম্পূর্ণ বোধ করতে পারেন, যদিও আপনার জীবনের একটি অংশ হারিয়ে গেছে। তবুও কয়েক বছর পরে আপনি মাঝে মাঝে এমনভাবে কথা বলতে পারেন যেন আপনি যে ব্যক্তিকে হারিয়েছেন তিনি এখনও আপনার সাথে আছেন।

মেনে নেওয়া

এই বিভিন্ন অভিজ্ঞতাগুলো একে অপরের সঙ্গে মিশে যেতে পারে এবং বিভিন্ন মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই এক বা দুই বছরের মধ্যে একটি বড় ধরণের শোক থেকে বেরিয়ে আসি। শোক প্রকাশের চূড়ান্ত ধাপ হলো যে ব্যক্তি মারা গেছে তাকে যেতে দেওয়া এবং একটি নতুন জীবন শুরু করা। আপনার মেজাজ ভালো হয়, ঘুমের উন্নতি হয় এবং কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। আপনি আপনার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন, এমনকি আপনার যৌন আকাঙ্ক্ষাও ফিরে আসে।

সব কিছুর পরেও বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ তাদের নিজস্ব উপায়ে মৃত্যুর সাথে সমঝোতা করে। কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে, মৃত্যুকে জীবনের 'পূর্ণ বিরতি' হিসেবে দেখার বদলে জীবন ও মৃত্যুর ক্রমাগত চক্রের একটি ধাপ হিসেবে দেখা হয়। শোকের আচার এবং অনুষ্ঠানগুলো খুব প্রকাশ্য এবং প্রদর্শনমূলক হতে পারে, অথবা একান্ত এবং নীরব হতে পারে। কিছু সংস্কৃতিতে শোকের সময়কাল নির্দিষ্ট হয়, আবার কিছু সংস্কৃতিতে তা নির্দিষ্ট হয় না। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে শোকার্ত লোকেরা যে অনুভূতিগুলো অনুভব করে তা একই রকম হতে পারে, তবে তাদের প্রকাশের ধরনগুলি ভিন্ন।

শিশু ও কিশোর-কিশোরী

যদিও শিশুরা খুব অল্প বয়সে মৃত্যুর অর্থ বুঝতে পারে না, তবে তারা প্রাপ্তবয়স্কদের মতই নিকটাত্মীয়দের হারানোর কষ্ট অনুভব করে। শৈশব থেকেই শিশুরা খুব দুঃখ পায় এবং প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা অনুভব করে।

কিন্তু তাদের সময়ের অভিজ্ঞতা প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে ভিন্ন এবং তারা বেশ দ্রুত শোকের পর্যায়গুলো অতিক্রম করতে পারে। ছোটবেলায় স্কুল জীবনে, শিশুরা হয়তো নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুর জন্য নিজেদের দায়ী বলে মনে করতে পারে এবং তাই তাদের আশ্বস্ত করার প্রয়োজন হবে যে তাদের কোন দোষ নেই। কিশোর-কিশোরীরা তাদের আশপাশের বড়দের দুঃখের বোঝা বাড়ানোর ভয়ে তাদের নিজেদের শোকের কথা বলতে পারে না।

পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে শিশু-কিশোরদের দুঃখ এবং তাদের শোকের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

আত্মহত্যার পর শোক

আপনার পরিচিত কারও আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যু মেনে নেওয়া বিশেষভাবে কঠিন হতে পারে। শোকের স্বাভাবিক অনুভূতির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পরস্পর বিরোধী আবেগ থাকতে পারে। আপনি অনুভব করতে পারেন :

  • আত্মহত্যা করার কারণে মৃত ব্যক্তির উপর রাগ করা।
  • তারা যা করেছে তার কারণে নিজেকে অবহেলিত মনে করা।
  • কেন তারা এটা করল তা ভেবে বিভ্রান্ত বোধ করা।
  • অপরাধবোধ — বেশিরভাগ ব্যক্তিই হতাশার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আত্মহত্যা করে : কীভাবে আপনি মৃত ব্যক্তির মনের অবস্থা খেয়াল করেননি?
  • তাদের মৃত্যু ঠেকাতে না পারার জন্য দোষী – আপনি মৃত ব্যক্তির সাথে কাটানো সময় মনে করতে পারেন এবং নিজেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে আপনি তাদের ঠেকাতে পারতেন কিনা
  • মৃত ব্যক্তির কষ্ট হয়েছে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া
  • আপনাকে যে আর তাদের কষ্ট সহ্য করতে হবে না তা নিয়ে খুশি হওয়া
  • মানসিকভাবে স্বস্তিবোধ করছেন যে, সেই ব্যক্তিকে আর সমর্থন করতে বা তাঁর আত্মহত্যা সম্পর্কিত চিন্তা ও আবেগের সাথে মোকাবিলা করতে হচ্ছে না।
  • তারা যা করেছে তার জন্য লজ্জিত বোধ করা - বিশেষত যদি সংস্কৃতি বা ধর্ম আত্মহত্যাকে পাপ বা লজ্জাজনক বলে মনে করে
  • এ সম্পর্কে অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে অনিচ্ছার কারণ ক) তাদের সংস্কৃতিতে আত্মহত্যাকে কলঙ্ক ভাবা বা খ) তারা মনে করে যে অন্য ব্যক্তিরা অনুভূতি বা মারা যাওয়া ব্যক্তির চেয়ে পরিস্থিতির নাটকীয়তায় বেশি আগ্রহী
  • একাকী বোধ করা — এটি আত্মহত্যার মাধ্যমে প্রিয়জনকে হারিয়েছে এমন অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলতে সহায়তা করে।

এনআইসিই গাইডলাইন ১০৫ (বিভাগ ১.৮) আত্মহত্যার দ্বারা শোকাহত বা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের সহায়তা করার জন্য সুপারিশ সরবরাহ করে। অন্যান্য দরকারী রিসোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে:

ময়নাতদন্ত

সাধারণত অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত করা হয়। যদি এটি কোনো ব্যক্তির ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায় তবে তাদের বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ময়নাতদন্তকারী এবং সম্পৃক্ত যে কোনো পেশাদারকে এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে।

তারপর সাধারণত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে। ঠিক কী ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করার জন্য আদালতের শুনানিতে ময়নাতদন্ত বিচারকের কাছে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। তদন্তে উপস্থিত থাকা আপনার জন্য সহায়ক বলে মনে হতে পারে - তবে আপনি যদি না যেতে চান, তাহলেও আপনি তদন্তকারীর অফিস থেকে তদন্তের একটি সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পাবেন (এর জন্য কোনো ফি লাগবে না)।

যখন কোনো মৃত্যুর খবর কোনো তদন্তকারীকে জানানো হয় তখন কী ঘটে তা নিয়ে তদন্তকারীর পরিষেবা এবং তদন্তকারীর তদন্ত বিষয়ক সরকারি গাইডগুলোতে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। 

বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়রা কীভাবে সাহায্য করতে পারে?

  • যে ব্যক্তি শোক অনুভব করছে তার সাথে সময় কাটিয়ে আপনি সাহায্য করতে পারেন। কথা বলার চেয়ে জরুরি হলো তাদের জানানো যে এই কষ্ট এবং মানসিক যন্ত্রণার সময় আপনি তাদের পাশে থাকবেন। যখন কথা বলার মতো শব্দ থাকে না, তখন কাঁধে সহানুভূতির হাত যত্ন এবং ভরসা দেয়।
  • এটি গুরুত্বপূর্ণ যে শোকার্ত ব্যক্তিরা যদি চায় তাহলে কারো সাথে বসে কাঁদতে পারে এবং তাদের মনের যন্ত্রণা ও দুঃখের কথা বলতে পারে এবং সেজন্য তাদেরকে নিজেকে সামলে নেওয়ার মতো কথা শুনতে হবে না। সময়ের সাথে তারা এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে কিন্তু প্রথমে তাদের কথা বলতে হবে এবং কাঁদতে হবে।
  • অন্যদের পক্ষে বুঝতে অসুবিধা হতে পারে যে, কেন শোকার্ত ব্যক্তিকে একই বিষয় নিয়ে বারবার কথা বলতে হয়, কিন্তু এটা শোক দূর করার প্রক্রিয়ার অংশ আর এটাকে উৎসাহিত করা উচিত। আপনি যদি কী বলতে হবে তা না জানেন বা এটি সম্পর্কে কথা বলতে হবে কিনা তাও না জানেন, তবে সৎভাবে সেটা বলে দিন। এটি শোকার্ত ব্যক্তিকে সে কী চায় তা আপনাকে বলার সুযোগ দেয়। মানুষের কষ্ট হবে এই ভয়ে যিনি মারা গেছেন তার নামও মানুষজন মুখে আনতে চান না। কিন্তু শোকার্ত ব্যক্তির কাছে মনে হতে পারে যেন অন্যেরা তাকে হারানোর কথা ভুলে গেছে, যা তাদের শোকের বেদনাদায়ক অনুভূতির সাথে একাকীত্বের অনুভূতি যোগ করে।
  • মনে রাখবেন, বিশেষ করে উৎসবের সময় এবং বার্ষিক অনুষ্ঠানগুলোতে (কেবল মৃত্যুর নয়, জন্মদিন এবং বিবাহেরও হতে পারে) অনেক বেশি কষ্ট হয়।। বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়রা পাশে থাকার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা করতে পারেন।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, কেনাকাটা অথবা বাচ্চাদের দেখাশোনা করার ক্ষেত্রে বাস্তবিক সাহায্য একা থাকার বোঝা কমাতে পারে। বয়স্ক শোকাহত প্রবীণ জীবনসঙ্গীর কাজগুলো নিয়ে সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে, যেগুলো মৃত সঙ্গী সাধারণত দেখাশোনা করতেন - যেমন বিল পরিচালনা, রান্না করা, বাড়ির কাজ, গাড়ি মেরামত করা ইত্যাদি।
  • মানুষকে শোক পালন করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া জরুরি। কেউ কেউ শোকের অনুভূতি দ্রুত কাটিয়ে ওঠে, তবে কেউ কেউ বেশি সময় নেয়। সুতরাং, শোকার্ত আত্মীয় বা বন্ধুর কাছ থেকে খুব শীঘ্রই শোক কাটিয়ে ওঠার আশা করবেন না - তাদের ঠিকভাবে শোক পালন করার জন্য সময় প্রয়োজন এবং এটি ভবিষ্যতে সমস্যা এড়াতে সহায়তা করবে। 

শোক কাটিয়ে উঠতে না পারলে কী হয়?

এমন কিছু ব্যক্তি আছেন যারা শোক অনুভব করেন বলে মনে হয় না। তারা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কাঁদেন না, তাদের কষ্টের প্রসঙ্গে কথা বলা এড়িয়ে যান এবং খুব দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। এটি তাদের শোক মোকাবেলা করার স্বাভাবিক উপায় এবং এতে কোনো ক্ষতি নেই, তবে অনেকেই পরবর্তী বছরগুলোতে অদ্ভুত শারীরিক উপসর্গ বা বারবার মানসিক অবসাদের প্রভাব অনুভব করতে পারেন। কারো কারো ঠিকমতো শোক করার সুযোগ নাও থাকতে পারে। পরিবার বা ব্যবসা দেখাশোনা করার দায়িত্বের কারণে শোক করার কোনো সময় থাকে না।

কখনো কখনো সমস্যাটি হলো যে ক্ষতিটিকে একটি 'যথাযথ' শোক হিসাবে দেখা হয় না। যাদের গর্ভপাত হয়েছে বা মৃত সন্তান জন্মেছে, বা গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে তাদের সাথে প্রায়ই এমন হয়, তবে সব সময় নয়। আবার তাদের মধ্যে ঘন ঘন মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে।

কেউ কেউ শোক করতে শুরু করলেও পরে থেমে যেতে পারেন। আঘাত এবং অবিশ্বাসের প্রাথমিক বোধটি কেবল চলতেই থাকে। বছরের পর বছর চলে যেতে পারে, কিন্তু তাদের প্রিয় মানুষটি মারা গেছেন এটা বিশ্বাস করতে তাদের এখনো কষ্ট হয়। কেউ কেউ হয়তো আর কিছু ভাবতে পারে না, তখন মৃত ব্যক্তির ঘরটিকে তাদের স্মৃতির মন্দিরে পরিণত করে।

মাঝে মাঝে প্রতিটি শোকের সাথে যে মানসিক অবসাদ দেখা দেয়, তা এত গভীর হতে পারে যে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণে অনীহা দেখা দেয় এবং আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় আসে।

আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

শোক আমাদের জগৎকে এলোমেলো করে দেয় এবং এটি আমাদের সহ্য করা সবচেয়ে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতাগুলোর মধ্যে একটি। এটি অদ্ভুত, ভয়ানক এবং অসহনীয় হতে পারে। তা সত্ত্বেও, এটি জীবনের একটি অংশ যার ভেতর দিয়ে আমরা সবাই যাই এবং সাধারণত এর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এমনও সময় রয়েছে যখন শোক একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে ওঠে।

  • যদি কয়েক মাস পরেও কারো শোক দূর না হয় তখন তাদের জিপি সাহায্য করতে পারেন। কারো কারো জন্য একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সাথে দেখা করা এবং তাদের সাথে কথা বলাই যথেষ্ট হয়। অন্যদের শোক পরামর্শদাতা বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে একটি বিশেষ গ্রুপে বা কিছু সময়ের জন্য নিজেরাই দেখা করার প্রয়োজন হতে পারে।
  • মাঝে মাঝে, দীর্ঘ সময় ধরে নিদ্রাহীন রাত কাটতে পারে যা একটি গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়। তখন হয়তো ডাক্তার কয়েক দিনের জন্য ঘুমের ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন।
  • যদি মানসিক অবসাদ ক্ষুধা, শক্তি এবং ঘুমকে প্রভাবিত করে আরও গভীর হতে থাকে তবে মানসিক অবসাদের ওষুধ অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট সহায়ক হতে পারে; আরো তথ্যের জন্য অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট সম্পর্কিত আমাদের লিফলেটটি দেখুন যদি তারপরেও মানসিক অবসাদের উন্নতি না হয়, তাহলে আপনার জিপি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করতে পারেন।
  • যাদের প্রিয়জন কোনো দুরারোগ্য রোগে মারা গেছেন, তাদের জন্য অনেক হাসপাতাল বিনামূল্যে শোক পরিষেবা ও সমর্থন প্রদান করবে।
  • যারা সমস্যায় ভুগছেন , তাদের জন্য সহায়তা কেবল ডাক্তারদের কাছ থেকেই নয়, নীচের তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর কাছ থেকেও হাতের নাগালের মধ্যে পাওয়া যাবে।

শোক সম্পর্কে সমর্থন এবং পরামর্শ

শোকপরামর্শকেন্দ্র

হেল্পলাইন : 0800 634 9494

একটি ফ্রি ফোন নম্বরের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারিক বিষয়ে শোকার্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করে। এটি মৃত্যু নিবন্ধন থেকে শুরু করে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালকের সন্ধান পর্যন্ত প্রোবেট, কর এবং সুবিধা সম্পর্কিত প্রশ্নাবলি পর্যন্ত শোকের সকল দিক সম্পর্কে পরামর্শ দেয়।

ব্রিদিংস্পেসস্কটল্যান্ড

হেল্পলাইন : 0800 83 85 87

যারা মানসিক অবসাদগ্রস্ত এবং যাদের কথা বলা প্রয়োজন তাদের কথা শোনা এবং পরামর্শ ও তথ্য দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ পরামর্শদাতা আছেন।

চাইল্ডবিরিভমেন্টইউকে

সহায়তা এবং তথ্য লাইন : 0800 02 888 40

একটি জাতীয় দাতব্য সংস্থা যা শোকাহত পরিবার এবং তাদের পরিচর্যাকারী পেশাদারদের সহায়তা করে।

ক্রুজবেরিভমেন্টকেয়ার এবং ক্রুজবেরিভমেন্টকেয়ারস্কটল্যান্ড

হেল্পলাইন : 0808 808 1677

হেল্পলাইন (স্কটল্যান্ড) : 0845 600 2227

কাছের কারো মৃত্যুর পর মানুষকে সহায়তা করে। যুক্তরাজ্য জুড়ে শোক সহায়তা প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা মুখোমুখি এবং দলগত সমর্থন প্রদান করা হয়।

ডাইংম্যাটার্স

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস জুড়ে ৩২০০০ সদস্যের একটি জোট যার লক্ষ্য মানুষকে মৃত্যু, মৃত্যু এবং শোক সম্পর্কে আরও খোলামেলা কথা বলতে এবং জীবনের শেষ মুহূর্ত নিয়ে পরিকল্পনা করতে সহায়তা করা।

রোজিক্রেনট্রাস্ট

হেল্পলাইন : 01460 55120

ইমেইল : contact@rosiecranetrust.co.uk

এই ট্রাস্ট যে কোনো পুত্র অথবা কন্যা সন্তান হারানোর পরে শোকসন্তপ্ত পিতামাতাকে তাদের শোক কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।

সামারিটানস

হেল্পলাইন : 116 123

ইমেইল : jo@samaritans.org

একটি জাতীয় সংগঠন যা মানসিক যন্ত্রণায় থাকা, আত্মহত্যার চিন্তা করা অথবা হতাশাগ্রস্তদের সাথে কথা বলার মতো কাউকে খুঁজতে সাহায্য করে।

সাপোর্টআফটারসুইসাইডপার্টনারশিপ

এমন সংগঠনগুলির একটি নেটওয়ার্ক যা আত্মহত্যার ফলে শোকার্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সমর্থন করে।

সার্ভাইভারসঅফবেরিভমেন্টবাইসুইসাইড

হেল্পলাইন : 0300 111 5065

যুক্তরাজ্যে শোকাহত ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত শোকাহত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটি স্বনির্ভর সংগঠন।

দ্যাকম্প্যাশনেটফ্রেন্ডস: শোকসন্তপ্তপিতা-মাতাতাদেরপরিবারকেসহায়তাকরা

হেল্পলাইন : 0345 123 2304

একটি দাতব্য সংস্থা যা সন্তান/সন্তানদের মৃত্যুতে শোকার্ত বাবা-মা, ভাই-বোন এবং দাদা-দাদীদের সহায়তা করে।

দ্যালুলাবাইট্রাস্ট

ফোন : 0808 802 6868

ইমেইল : support@lullabytrust.org.uk

একটি দাতব্য সংস্থা যা হঠাৎ করে একটি শিশুসন্তান হারিয়েছে এমন শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর জন্য বিশেষজ্ঞ সহায়তা প্রদান করে, শিশুর নিরাপদ ঘুমের বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রচার করে এবং নবজাতকের আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়ে সচেতনতা বাড়ায়।

দ্যালসফাউন্ডেশন

ক্যান্সারে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সহায়তা করার একটি দাতব্য সংস্থা। এটি লন্ডন এবং অক্সফোর্ডে সাপোর্ট গ্রুপ (প্রধানত শিক্ষার্থীদের জন্য) এবং অন্যান্য সহযোগী কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে।

ডব্লিউএওয়াই: উইডোডঅ্যান্ডইয়াং

জীবনসঙ্গী মারা গেছে এমন ৫০ বছর বা তার কম বয়সী পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য একটি দাতব্য সংস্থা।

উইনস্টন'উইশ

উইনস্টন'স উইশ কাছের কেউ মারা গেছে এমন শিশু, তরুণ (২৫ বছর পর্যন্ত) এবং তাদের পরিবারকে শোক সহায়তা সরবরাহ করার জন্য যুক্তরাজ্যের জাতীয় দাতব্য সংস্থা।

ফ্রি ফোন হেল্পলাইন : 08088 020 021

ইমেইল : ask@winstonswish.org

আরও পড়তে পারেন

  • গ্রীফঅবসার্ভড, সি.এস লুইস এর।
  • ইউ'গেট ওভার ইট: দ্য রেজ অফ বেরিভমেন্ট, ভার্জিনিয়া আয়রনসাইডের।
  • এগুলো ছাড়াও ক্রুজ বেরিভমেন্ট কেয়ার আরো কিছু উপকরণ সুপারিশ করে।

তথ্যসূত্র

Zisook, S., & Shear, K. (2009). Grief and bereavement: what psychiatrists need to know. World Psychiatry, 8 (2), 67-74.

Bonanno, G.A., & Kaltman, S. (2001). The varieties of grief experience. Clinical Psychology Review, 21 (5), 705-734.

Zisook, S., et al. (2014). Bereavement: Courses, consequences and care. Current Psychiatry Reports, 16, 482-492.

Lobar, S.L., Youngblut, J.M., & Brooten, D. (2006). Cross-cultural beliefs, ceremonies and rituals surrounding death of a loved one. Pediatric Nursing, 32 (1), 44-50.

Watson-Jones, R.E., Busch, J.T.A., Harris, P.L., & Legare, C.H. (2017). Does the body survive death? Cultural variation in beliefs about life everlasting. Cognitive Science, 41 (Suppl.3), 455-476.

Bibby, R.W. (2017). Life after death: Data and reflections on the last information gap: A research note. Studies in Religion, 46 (1), 130-141.

Perkins, H.S., Cortez, J.D., & Hazuda, H.P. (2012). Diversity of patients’ beliefs about the soul after death and their importance in end of life care. Southern Medical Journal, 105 (5), 266-272.

Bonoti, F., Leondari, A., & Mastora, A. (2013). Exploring children’s understanding of death: through drawings and the death concept questionnaire. Death Studies, 37, 47-60.

Slaughter, V. (2005). Young children’s understanding of death. Australian Psychologist, 40 (3), 179-186.

Willis, C.A. (2002). The grieving process in children: strategies for understanding, educating and reconciling children’s perceptions of death. Early Childhood Education Journal, 29 (4), 221-226.

Simon, N.M. (2013). Complicated grief. JAMA, 310 (4), 416-423.

Horowitz, M.J., et al. (1997). Diagnostic criteria for complicated grief disorder. American Journal of Psychiatry, 154 (7), 904-910.

Monk, T.H., Germain, A., & Reynolds, C.F. (2008). Sleep disturbance in bereavement. Psychiatric Annals, 38 (10), 671-675.

কৃতজ্ঞতা

রয়াল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টস (Royal College of Psychiatrists) এর পাবলিক এনগেজমেন্ট এডিটোরিয়াল বোর্ড এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

সিরিজ সম্পাদক : ডঃ ফিলিপ টিমস
সিরিজ ব্যবস্থাপক : থমাস কেনেডি
বিশেষজ্ঞ পর্যালোচনা : ডঃ মনোজ রাজাগোপাল

প্রকাশিত : মার্চ ২০২০

পর্যালোচনা করার সম্ভাব্য তারিখ : মার্চ ২০২৩

© রয়াল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টস (Royal College of Psychiatrists)

This translation was produced by CLEAR Global (Jun 2024)

Read more to receive further information regarding a career in psychiatry